কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত লকডাউন

কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হল

কিছু জায়গায় সামাজিক গনমাধ্যমে কিছু গুজব ছড়িয়েছে, যে গোটা রাজ্যে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, তাই পাঠক বন্ধুরা নীচের সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ে ভুল ধারণা কাটিয়ে গুজব থেকে বেরিয়ে আসুন।


সারা দেশে কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন৷ আনলক-৬ এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে৷ তবে আগের মতোই বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে মানুষ ও পরিবহন চলাচল করতে পারবে৷ সে ক্ষেত্রে কোনও অনুমতি লাগবে না৷

নবান্ন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৩ হাজার ৩৫২ টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে৷ এর মধ্যে শহর কলকাতায় মাত্র একটি৷ কলকাতা পুরসভার ৮নম্বর বোরোর ৬৯ ওয়ার্ডের ২২/১ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড ( শুধু ফাস্ট ফ্লোর)৷ যদিও এদিন একটি ভু্য়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে যে একাধিক জেলায় নতুন করে লকডাউন জারি হচ্ছে। তবে, কলকাতা পুলিশ সেই খবর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে।


এছাড়া হাওড়ায় ৫৯ টি কনটেইনমেন্ট জোন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩৩টি, উত্তর ২৪ পরগণায় ৮ টি,হুগলি ১৮ টি,নদিয়ায় ৮৭০ টি,পূর্ব মেদিনীপুর ২৭ টি,পশ্চিম মেদিনীপুর ৩৫১ টি,পূর্ব বর্ধমান ৫৬৩ টি,মালদা ৪ টি,জলপাইগুড়ি ১৪ টি,দার্জিলিং ৭ টি,কালিম্পং ২৮ টি,উত্তর দিনাজপুর ৩১৬ টি,দক্ষিণ দিনাজপুর ১১ টি,মুর্শিদাবাদ ৪৭ টি,বাঁকুড়া ৪৬ টি,বীরভূম ১২৭ টি,কোচবিহার ৩৩৫ টি,পুরুলিয়া ৪৩৮ টি,আলিপুরদুয়ার ৪৮ টি,ঝাড়গ্রাম ১ টি কনটেইনমেন্ট জোন৷

শুধুমাত্র পশ্চিম বর্ধমানে কোনও কনটেইনমেন্ট জোন নেই৷ অর্থাৎ কনটেইনমেন্ট মুক্ত জেলা৷

এদিকে বাংলায় বেড়েই চলেছে সংক্রমণ৷ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও৷ তুলনামূলক সুস্থ হয়ে উঠছেন কম৷

 কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরও কয়েকটি জেলার সংক্রমণ৷ এগুলো হল -হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি,দুই মেদিনীপুর, নদিয়া ও দার্জিলিং৷


সোমবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, মোট আক্রান্ত যথাক্রমে কলকাতায় (৭৬,৮০৮), উত্তর ২৪ পরগনায় (৭১,৮৩১),হাওড়া (২৪,১৯৩), দক্ষিণ ২৪ পরগনায়(২৩,৩৫৯ ),হুগলি (১৭,৩৪৪), পূর্ব মেদিনীপুর ( ১৪,২৭৫) ও পশ্চিম মেদিনীপুর (১৩,৪৬৩) জন,নদিয়া ( ১১,৩৫৫) জন ও দার্জিলিং (১০,৮৭০) জন৷ বাকি জেলায় সংক্রমণ ১০ হাজারের নিচে৷

রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ৪,১২১ জন৷ মোট আক্রান্ত সাড়ে ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮২২ জন৷ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এই পর্যন্ত রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যাটা ৬,৫৪৬ জন৷

 

অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা বাড়তে বাড়তে ৩৭ হাজার ছাড়াল৷ এদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,৩৭ হাজার ১৯০ জন৷ এদিনও নতুন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে উঠার সংখ্যাটা কম৷ একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩,৮৮৯ জন৷এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৮৬ জন৷ সুস্থতার হার একটু বেড়ে ৮৭.৬৪ শতাংশ৷

একদিনে যে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কলকাতার ১৪ জন৷ উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৮ জন৷ হাওড়ার ৫ জন৷ হুগলি ১ জন৷ পূর্ব বর্ধমান ১ জন৷ পূর্ব মেদিনীপুর ২ জন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ৬ জন৷ নদিয়া ২ জন৷ কালিম্পং ১ জন৷ দার্জিলিং ৩ জন৷ আলিপুরদুয়ার ১ জন৷




Post a Comment

0 Comments