৪০ টাকায় বাড়ি বসেই মিলবে লাইফ সার্টিফিকেট
বাড়িতে বসেই এবার লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবন প্রমাণপত্র জমা করতে পারবেন
পেনশনভোগীরা। সাহায্য করবে কমন সার্ভিস সেন্টার (সিএসসি) বা তথ্যমিত্র কেন্দ্র এবং
ভারতীয় ডাক বিভাগ। পিএফের আওতায় থাকা বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের
পাশাপাশি এই সুযোগ পাবেন সরকারি পেনশনভোগীরাও। কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে
প্রবীণদের বাঁচাতেই এমন উদ্যোগ।
নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার প্রচণ্ড চাপ থাকে।
ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে তা জমা করতে হয় পেনশনভোগীদের। ফলে ভিড় বাড়ে। লাইনে
দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ। করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে
বয়স্কদের জন্য এই কাজ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। এমনিতেই এখন ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের
শাখাগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তাতে ভোগান্তি চরমে পৌঁছচ্ছে। এই
পরিস্থিতিতে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করাও প্রবীণদের কাছে বেশ ঝঞ্ঝাটের। সমস্যার
মোকাবিলায় বিকল্প পথ হিসেবে এই বাড়ি বয়ে পরিষেবা। কিন্তু তা মিলবে কীভবে?
কমন সার্ভিস সেন্টারগুলির সিনিয়র ম্যানেজার (ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন)
অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্যে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার
তথ্যমিত্র কেন্দ্র রয়েছে। পেনশনভোগীরা যে কোনও কেন্দ্রে এসে ১০ টাকার বিনিময়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে
পারেন। বাড়িতে বসেও পরিষেবা পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে তথ্যমিত্র
কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। সেখানকার কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে
পৌঁছে যাবেন। খরচ পড়বে ৪০ টাকা।’
বেসরকারি ক্ষেত্রে পেনশনভোগীদের এই পরিষেবা দিতে ইপিএফও’র সঙ্গে
গাঁটছড়া বেঁধেছে সিএসসি। পাশাপাশি ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কও এগিয়ে
এসেছে। এর ফলে রাজ্যের প্রতিটি ডাকঘরে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করা যাবে। একইভাবে
পোস্টম্যান বা গ্রামীণ ডাক সেবকরা গ্রাহকের বাড়ি গিয়ে লাইফ সার্টিফিকেট নিয়ে আসবেন।
এক্ষেত্রে ৭০ টাকা খরচ পড়বে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে প্রায় ১০ হাজার ডাকঘরের শাখা
রয়েছে। প্রতিটি শাখা থেকেই মিলবে এই পরিষেবা।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের কলকাতা আঞ্চলিক অফিসের
কমিশনার (আরপিএফসি ওয়ান) নব্যেন্দু রাই বলেন, ‘ডাক বিভাগ এবং
কমন সার্ভিস সেন্টারগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার ফলে পিএফ গ্রাহকরা উপকৃত হবেন।
লাইনে দাঁড়ানোর সমস্যাও লাঘব হবে।’ তবে পিএফ দপ্তর অনেক আগেই এই পরিকল্পনা নিয়েছে
বলে জানিয়েছেন তিনি। রাই বলেছেন, ‘ভিড় এড়াতে বহু আগেই উদ্যোগ
নিয়েছে পিএফ দপ্তর। শুধু নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করা এখন আর
বাধ্যতামূলক নয়। বছরের যে কোনও সময় তা জমা করা যেতে পারে। যেদিন তা জমা করা হবে,
তার থেকে পরবর্তী বারো মাস মেয়াদ থাকবে।’
0 Comments